মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের আগিহুন গ্রামে মোঃ ছুফিয়ান মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে এলাকায় তিন তিনবার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় গফুর মিয়া সরকারের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সালিশে বিষয়টি দফারফা করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। একটি গোপন সূত্র মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেও, তিনি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে- বহিরাগত পাখি শিকারী গত ৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৪নং আপার কাগাবলা ইউনিয়নস্থিত আগিহুন গ্রামে পাখি শিকার করে নিয়ে যাবার সময়, আছরের নামাজ পড়ে আগিউন বায়তুল আমান জামে মসজিদ থেকে বের হওয়া একই গ্রামের ছুফিয়ান মিয়া পাখি শিকারকে কেন্দ্র করে মসজিদের সামনে শিকারীর সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হন এবং শিকারকৃত পাখিগুলো ছেড়ে দিতে বলেন। এসময় একই গ্রামের ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গং ৪ জন অবৈধ পাখি শিকারীর পক্ষ নিয়ে ছুফিয়ান মিয়ার সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে কৌশলে শিকারীকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন। এ নিয়ে তুমুল বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংরা ছুফিয়ান মিয়ার উপর চড়াও হয়ে একযোগে বেদম কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে ছুফিয়ান মিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়লে উপস্থিত অন্যান্য লোকজন ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংদেরকে নিবৃত করে ছুফিয়ান মিয়াকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে পৌছার ঘন্টাখানেকের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় ছুফিয়ান মিয়াকে দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত: ঘোষনা করেন। এ খবর পেয়ে ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংরা গা-ঢাকা দেন। পরে ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আহাদ মিয়া ও বর্তমান মেম্বার মোঃ আকতার হোসেন (ধলা)সহ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির উদ্যোগে একে একে তিনবার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতিতে স্থানীয় গফুর মিয়া সরকারের বাড়িতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও সর্বশেষ সালিশে ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গং ৪ জন জরিমানা হিসাবে নিহত ছুফিয়ান মিয়ার পরিবারকে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্তপূর্বক ছুফিয়ান মিয়া হত্যাকান্ডের দফারফা করা হয়। মর্মান্তিক এ হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানে এ প্রতিবেদকসহ অপর ২ জন সাংবাদিক সরেজমিন আগিহুন গ্রামে নিহত ছুফিয়ান মিয়ার বাড়ীতে যাবার খবর পেয়ে সাবেক মেম্বার আহাদ মিয়া ও মোঃ আকতার হোসেন (ধলা) স্বপ্রণোদিতভাবে উপস্থিত হয়ে জানান- ছুফিয়ান মিয়া হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন। ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংদের বাক-বিতন্ডা ও বেদম কিল-ঘুষি মারার কারণে নিহত ছুফিয়ান মিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, ইউপি মেম্বারদ্বয় জানান- ছুফিয়ান মিয়াকে কিল-ঘুষি মারা হয়নি এবং তিনি অসুস্থ্যও হয়ে পড়েননি। তবে, বাক-বিতন্ডা হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার না হয়ে হার্ট এ্যাটকেই যদি ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে তিন তিনবার সালিশ অনুষ্ঠিত হলো কেন- তাও আবার ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যুর পর ? এ প্রশ্নের কোন জবাব তারা দিতে পারেননি। অভিযুক্তদের প্রধান ফয়সল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার সাথে দেখা করতে চাইলে, তিনি মৌলভীবাজারের বাইরে আছেন জানিয়ে দেখা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তার কাছে তার সহযোগী অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে, তাতেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, ছুফিয়ান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর ডাক্তার তাকে মৃত: ঘোষনা করায়, তার কোন চিকিৎসারই প্রয়োজন হয়নি বিধায়, ডাক্তারও তো জানেননা কিভাবে ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। আর, যেহেতু ছুফিয়ান মিয়া হাসপাতালে মারা যাননি সেহেতু হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদ প্রদানের তো প্রশ্নই আসেনা। তাহলে হার্ট এ্যাটাকে ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচারকারীরাসহ মেম্বারদ্বয় তা কিভাবে জানলেন ? এসব নানা কারণে প্রাথমিকভাবে এটা প্রায় ষ্পষ্ট যে, ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংদের বাক-বিতন্ডা ও বেদম কিল-ঘুষিতেই ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বিধায় এটি একটি হত্যাকান্ড। ছুফিয়ান মিয়ার লাশ ময়না তদন্ত করলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
য়ে দেন। বাড়িতে পৌছার ঘন্টাখানেকের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় ছুফিয়ান মিয়াকে দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত: ঘোষনা করেন। এ খবর পেয়ে ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংরা গা-ঢাকা দেন। পরে ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আহাদ মিয়া ও বর্তমান মেম্বার মোঃ আকতার হোসেন (ধলা)সহ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির উদ্যোগে একে একে তিনবার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতিতে স্থানীয় গফুর মিয়া সরকারের বাড়িতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও সর্বশেষ সালিশে ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গং ৪ জন জরিমানা হিসাবে নিহত ছুফিয়ান মিয়ার পরিবারকে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্তপূর্বক ছুফিয়ান মিয়া হত্যাকান্ডের দফারফা করা হয়। মর্মান্তিক এ হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানে এ প্রতিবেদকসহ অপর ২ জন সাংবাদিক সরেজমিন আগিহুন গ্রামে নিহত ছুফিয়ান মিয়ার বাড়ীতে যাবার খবর পেয়ে সাবেক মেম্বার আহাদ মিয়া ও মোঃ আকতার হোসেন (ধলা) স্বপ্রণোদিতভাবে উপস্থিত হয়ে জানান- ছুফিয়ান মিয়া হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন। ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংদের বাক-বিতন্ডা ও বেদম কিল-ঘুষি মারার কারণে নিহত ছুফিয়ান মিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, ইউপি মেম্বারদ্বয় জানান- ছুফিয়ান মিয়াকে কিল-ঘুষি মারা হয়নি এবং তিনি অসুস্থ্যও হয়ে পড়েননি। তবে, বাক-বিতন্ডা হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার না হয়ে হার্ট এ্যাটকেই যদি ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে তিন তিনবার সালিশ অনুষ্ঠিত হলো কেন- তাও আবার ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যুর পর ? এ প্রশ্নের কোন জবাব তারা দিতে পারেননি। অভিযুক্তদের প্রধান ফয়সল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার সাথে দেখা করতে চাইলে, তিনি মৌলভীবাজারের বাইরে আছেন জানিয়ে দেখা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তার কাছে তার সহযোগী অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে, তাতেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, ছুফিয়ান মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর ডাক্তার তাকে মৃত: ঘোষনা করায়, তার কোন চিকিৎসারই প্রয়োজন হয়নি বিধায়, ডাক্তারও তো জানেননা কিভাবে ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। আর, যেহেতু ছুফিয়ান মিয়া হাসপাতালে মারা যাননি সেহেতু হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদ প্রদানের তো প্রশ্নই আসেনা। তাহলে হার্ট এ্যাটাকে ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচারকারীরাসহ মেম্বারদ্বয় তা কিভাবে জানলেন ? এসব নানা কারণে প্রাথমিকভাবে এটা প্রায় ষ্পষ্ট যে, ফয়সল, সিরাজ ও টিটু গংদের বাক-বিতন্ডা ও বেদম কিল-ঘুষিতেই ছুফিয়ান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বিধায় এটি একটি হত্যাকান্ড। ছুফিয়ান মিয়ার লাশ ময়না তদন্ত করলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। – See more at: http://www.aporadhshongbad.com/index.php?page=news&id=34925#sthash.XPZw9288.dpuf